সব
গাজীপুরে শ্রীপুর থানা এলাকায় চলছে গ্যাসের অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় এসব সংযোগ প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে একটি চক্র।
অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরবর্তীতে এসব চক্রের হাত ধরে পুনরায় সংযোগ দেয়া হয়। এভাবে বছরের পর বছর ধরে চলছে চোর পুলিশ খেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর থানা এলাকার আনসার রোডের পূর্ব পশ্চিম পাশের আবেদ আলী গার্লস স্কুলের নিকটস্থ সড়কের দুই পাশের বাড়িতে জ্বলছে অবৈধ চুলা।
স্থানীয় নূরুল ইসলাম ওরফে নূরু পাগলার ছেলে মো. হানিফ (৩০) এর আধাপাকা টিনশেড বাড়িতেই জ্বলছে ৮-১০টা চুলা। ১৫-২০ কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িটির ভাড়াটিয়াদের চাহিদা যোগান দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এতগুলো চুলা, অথচ নেই একটারও অনুমোদন।
হানিফ একা নয়, বরং স্থানীয় আব্দুল হালিম (৪৫), নাসরিন (৪০), ইউসুফ সরদার (৪০), মজনু (৫০) সহ অন্তত ১০টি বাড়িতে অনুমোদন ছাড়াই গ্যাসের পাইপলাইন থেকে চোরাই সংযোগ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে এখানকার প্রায় অর্ধশত বাসায় গ্যাসের পাইপলাইন ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে যার অধিকাংশ বাড়িতেই অনুমোদনের বাইরেও জ্বলে অতিরিক্ত চুলা। দুইটা বা চারটা চুলার অনুমোদন নিয়ে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যাসের পাইপলাইন। ফলে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার গ্যাসের অপচয় ও বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি চক্র আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে বছরের পর বছর ধরে এভাবে অবৈধ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তবে চক্রটির ব্যাপারে সরাসরি মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।
জানা যায়, খোলা বাজার থেকে রাইজার কিনে রাতের অন্ধকারে এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করে তারা। স্থানীয়রা জানান, এর আগে একাধিকবার এই এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন তিতাসের কর্মকর্তারা। তথাপি কেন বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ সংযোগ, তিতাস কর্মকর্তাদের সাথে এসব চক্রের যোগসাজশ রয়েছে কি না, এসব নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
তিতাস গ্যাসের গাজীপুর আঞ্চলিক বিপণন কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাত ফরাজি জানান, অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন করণে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে শীঘ্রই এখানেও অভিযান চালানোর আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি কোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসার কিছুদিন পর সেখানে আবারও সংযোগ দেয়া হয় বলে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি নিজেও।
মন্তব্য