সব
জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি দেবাশীষ যোস বাপ্পী (হেলিকপ্টার) এবং পৌর আ.লীগের সভাপতি আরব আলীর (দোয়াত-কলম) পক্ষে নির্বাচন করছেন।
বর্তমান সংসদ-সদস্য নজরুল ইসলামের অনুসারীরা উপজেলা আ.লীগের সাবেক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দের (মোটরসাইকেল) পক্ষে প্রচারে নেমেছেন।
অন্য দুই প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) ও ময়মনসিংহ মহানগর আ.লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মুহাম্মদ রেজাউল করিমও (আনারস) নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় ভোটারদের ধারণা, চেয়ারম্যান পদে হেলিকপ্টার, মোটরসাইকেল ও দোয়াত-কলম প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জমবে।
এছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের বড় ভোট ব্যাংক থাকলেও তার ঘনিষ্ঠ দেবাশীষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ওই ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এরপরও মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত বলে বাসাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনে করছেন।
এমপি সমর্থকরা মাঠে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দলীয় একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা করছেন যে যার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বললেন সংসদ-সদস্য নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, নেত্রীর কথাই শেষ কথা, তিনি যেভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা নির্বাচন দেখতে চাচ্ছেন। তেমনি, একজন সংসদ- সদস্য হিসাবে নেত্রীর চাওয়াটাকেই আমার চাওয়া বলে মনে করি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকবেই। কিন্তু প্রকাশ্যে এত বিভক্তি দলের জন্য না হলেও সামাজিকভাবে অবশ্যই বিষয়টি ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।
মন্তব্য