সব
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে (০১-০৭-২০২৫ খ্রি.) ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সড়কে সড়কবাতি উন্নয়ন প্রকল্পে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বর্ণিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। অতঃপর প্রকল্পটির বিভিন্ন স্থানে, তথা ময়মনসিংহ শহরের জয়নাল আবেদীন পার্ক, সার্কিট হাউস চত্বর, খাগডহর, ঘুন্টি, রহমতপুর বাইপাসসহ অন্যান্য এলাকার সড়ক বাতিগুলো সরেজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলি বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অপর অভিযানে বিএডিসি, নোয়াখালী অফিসে বীজ সংগ্রহ, বিতরণ ও শ্রমিক নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় টিম উপস্থিত কৃষক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে অভিযোগের বাস্তবতা যাচাই করেন। এসময় বিএডিসি, নোয়াখালীর বীজ সংগ্রহ ও বিতরণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, বীজ বিপণন দপ্তর ও এগ্রো সার্ভিস সেন্টারের শ্রমিকদের তালিকা এবং বেতন সংক্রান্ত মাস্টাররোল ও হাজিরা খাতা সংগ্রহ করা হয়। টিম এসব নথিপত্র মিলিয়ে দেখে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন প্রদানের বিষয়টি যাচাই করেন। অভিযানকালে সংগৃহীত সকল নথিপত্র বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গরূপে যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলাস্থ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -এ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঠাকুরগাঁও হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যগণ ছদ্মবেশে হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে। পরবর্তীতে রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। রোগীদের জন্য সরবরাহকৃত খাবার যাচাই করে দেখা যায় যে, উক্ত খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট মেনে তা সরবরাহ করা হয়নি। মজুত থাকা সত্ত্বেও রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না করে ডাক্তার কর্তৃক তা বাহির থেকে সংগ্রহ করতে বলার সত্যতা পাওয়া যায়। উক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ের কিছু যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকায় সেবাগ্রহণকারীরা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি খরচে পরীক্ষা করেন মর্মে অভিযানকালে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্যাবলির প্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
মন্তব্য