সব
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শনিবার রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বললেন, গত এক বছরে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনার দায় ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে। এসব যানবাহন সড়কে কীভাবে চলে তার জবাব বিআরটিএকে দিতে হবে। ভবিষ্যতে ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ফাওজুল কবির খান আরও যোগ করে বলেন, আমি বিআরটিএকে নির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন ফিটনেসবিহীন যানবাহন পুনঃপরীক্ষার জন্য মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ফোন বা মেসেজ দেয়। এ মেসেজের লেখা থাকবে আপনার বাস ফের ফিটনেস পরীক্ষার সময় এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আপনি আপনার বাসের ফিটনেস পরীক্ষা করুন। এসময়ের মধ্যে যদি কেউ ফিটনেস পরীক্ষা না করে তাহলে তার রুট পারমিট বাতিল করা হবে। একইভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, আজকের সভায় গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা পরীক্ষা করা হবে। প্রতি বছরই সড়ক দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। এটা আমরা কমাতে পারছি না। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
এখনো বিআরটিএ’তে সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে আছে জানিয়ে সেতু উপদেষ্টা বলেন, এ সাড়ে চার লাখ লাইসেন্স দ্রুত সময়ে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। আশাকরি আগামী মার্চের মধ্যে তা বিতরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু এ কাজ অনেক ধীরগতিতে চলছে। তা দ্রুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য