সব
ভুক্তভোগীর বাবা মো: উজ্জল মিয়া বলেন, আমি কোম্পানির ভিসা চাইলে দালাল মাইন উদ্দিন বলেন বিমানে ওঠার আগে ভিসা দিবে। তিনি বলেন, আমার ছেলে সৌদি আরবে যাওয়ার পরে জানতে পারে তাকে ভিজিট ভিসায় ৯০ দিনের জন্য সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী সাকিবুল হাসান আরও বলেন, আমাকে যে জায়গা পাঠানো হয় ওইখানে এক দালাল অন্য দালালের কাছে আমাকে দুই বছরের জন্য বিক্রি করে দেয়। আমাকে ক্রীতদাসের মতো দিনে- রাতে মরুভূমি এলাকায় কাজ করাতো। কাজের এদিক সেদিক হলে প্রায় আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। আমাকে ঠিকমতো খাবারও দিত না। অনেক চেষ্টা করে প্রায় ১০-১২ দিন পর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে দেশ থেকে খাবারের জন্য টাকা পাঠাত। এভাবে আমি দুই মাস দশ দিন মানবতার জীবন যাপন করি। আমাকে দেশে ফেরত আনার জন্য আমার পরিবার দালাল মাইন উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে সে আরো দেড় লাখ টাকা লাগবে বলে জানাই। আমার বাবা আবার জমি বিক্রি করে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা খরচ করে আমাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসেন। এখন আমার পরিবার প্রায় নিঃস্ব । আমি ও আমার পরিবার সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এই ঘাতক দালাল ও মানবপাচারকারী মাইন উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। যাতে করে আমার পরিবারের মত অন্য পরিবারকে নিঃস্ব করতে না পারে । সেই সাথে আমার পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে জোর দাবি জানাই।
মন্তব্য