সব
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে (২৪-০৫-২০২৫ খ্রি.) ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রায় ১৭ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে ২৪ মে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হতে অডিট আপত্তি এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্রডশিট জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এরূপ রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। এনফোর্সমেন্ট টিম এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
অপর দুইটি অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরিষাবাড়ি, জামালপুর -এ সেবা প্রদানে হয়রানি, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও নানাবিধ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুর হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম রোগীদের জন্য প্রস্তুতকৃত খাবার যাচাই ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ড সরেজমিনে পরিদর্শন করে। আউটডোরে সেবা নিতে আসা রোগী/সেবাপ্রার্থীদের সাথে টিম কথা বলে এবং তারা কোনোরূপ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। অভিযানকালে দেখা যায়, রোগীদের সরবরাহকৃত রান্না করা মাংসের ওজন নির্ধারিত ওজনের তুলনায় কম দেওয়া হচ্ছে, যা তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে রেজিস্টার মেইনটেইন করা হচ্ছে না মর্মে অভিযানকারী টিম দেখতে পায়। অভিযানকালে প্রাপ্ত অনিয়মসমূহের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল -এর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ডিজিটাল মিটারে অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম কর্তৃক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর টিম সরেজমিনে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের জিগাতলা গ্রামে পরিদর্শনপূর্বক বিদ্যুৎ গ্রাহকের মিটারসমূহের রিডিং যাচাই বাছাই করে। উক্ত গ্রামের ৪০০/৫০০ গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগে উল্লিখিত ৪৫ জন গ্রাহকের মিটার সরেজমিনে সেবাপ্রত্যাশী স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পরিদর্শন এবং দাখিলকৃত বিদ্যুৎ বিলের কপি পর্যালোচনা করা হয়। পরিদর্শন ও দাখিলকৃত বিদ্যুৎ বিলের কপি পর্যালোচনায় গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে গড়ে ১০০০ থেকে ৮০০০ ইউনিট ওভার রিডিং (অতিরিক্ত রিডিং) দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
মন্তব্য