তেঁতুলিয়ায় ডাঙ্গাপাড়া মৎস্য চাষে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক ইনছান আলী

পঞ্চগড় জেলা তেতুলিয়ায় মৎস্য চাষে সফলতার মুখ দেখছেন ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা ইনসান আলী। ২০০০ সালে নিজের ২টি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। চাষে লাভ হওয়ায় আরো ৫টি পুকুর লিজ নিয়ে ৭টি মৎস্য খামারে ১৫ লাখ ৬ হাজার টাকার রেনু চাষ করেছেন। তার মৎস্য চাষের পুকুরে জমির পরিমান রয়েছে প্রায় ৬০ বিঘা মত বলে জানান, ৭ টি মৎস্য খামার মাগুড়ার বড়বিল্লা,দর্জিপাড়া,শালিয়াল,এবং ডাঙ্গা পাড়ায় গ্রামে অবস্থিত।

তিনি উপজেলার সদর ইউপি আজিজ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে আর বেশি এগুতে পারেনি।দীর্ঘদিন বেকার ছিলেন। চাকুরি না পেয়ে অভিশপ্ত বেকার জীবন থেকে মুক্ত হতে নিজ অর্থে, তিনি মৎস্য চাষে ঝুঁকে পড়েন। এখন তার মৎস্য খামারে ২০ জন বেকার যুবক চাকুরি করছেন । মৎস্য চাষের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব সবজি চাষ, ফলজ বাগান ও বনজ বাগান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

ঘুচিয়েছেন তাদের বেকারত্বও সফলতা মুখ দেখছেন নিজেই।বর্তমানে তার মৎস্য খামারে রুই, কাতলা, পুঁটি, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, তেলাপি,দেশী মলা, অন্যান্য প্রজাতির মাছের রেনু বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করে চাষ করছেন। তিন মাস পরিচর্যা করে এক থেকে দুই ইঞ্চি পোনা ২শ টাকা এবং চার ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পোনা ৫শ টাকায় বিক্রি করেন। তার এই সফলতা দেখে আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা মৎস্য চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। শুধু মৎস্য চাষে নয় সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এলাকার ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

তেতুলিয়া ছাড়াও পঞ্চগড় জেলা বিভিন্ন উপজেলায় তার হ্যাচারী থেকে পোনা সংগ্রহ করে অর্ধ শত বেকার যুবক মৎস্য চাষ করে জীবিকা অর্জন করছেন। বর্তমানে তিনি তেতুলিয়া উপজেলা ৭ টি মৎস্য প্রকল্পে মাছ চাষ করছেন। উপজেলার তেতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ইউসুফ আলীর
পুত্র ইনছান আলী।

স্থানীয় একজন মাছ ব্যবসায়ী তার পিতা তার মৎস্য চাষে সফলতা দেখেছেন এলাকার সবাই। এ ব্যাপারে মৎস্য চাষি ইনছান আলীর অভিযোগ ব্যাংক ঋনসহ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে তেমন কোন সহযোগীতা পাননি বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

গত ২৩ জুলাই মৎস্য অফিসের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে। এ উপজেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তার অর্জন করলেও চাষি ইনছান আলী তার ভাগ্যে এ পর্যন্ত কোন উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্য খামারী হিসেবে পুরস্কার, হয়নি।

এ বিষয়ে তেতুলিয়ার মৎস্য অফিসার মাহবুবুর রহমান, সহিত যোগাযোগ করলে তিনি পরিদর্শন করে মন্তব্য করবেন বলে জানান,