সব
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার সনকৈড় গ্রামের দারুন উলুম কাওমি হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জহুরুল ইসলাম (৬৪) মাদক নির্মূল সমাজ গঠনের জন্য মাদক বিক্রি, সেবন, বন্ধে ইউনিয়ন সাম্প্রদায়িক মিটিংয়ে কথা বলায় অত্র এলাকার মাদক ব্যবসায়িদের দ্বারা মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা আলহাজ্ব মোঃ জহুরুল ইসলাম ১১ জনের নাম উল্লেখ সহঅজ্ঞাতনামা ১৫ জনরে নামে থানায় এজাহার দ্বায়ের করেন।
এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় অত্র থানাধীন ৭নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুম ইউনিয়ন সাম্প্রদায়িক কমিটি গঠনের মিটিংয়ে এলাকার মাদক দ্রব্য বিক্রেতা মাদক সেবন ও পাইকারী এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং মাদক নির্মল সমাজ গঠনের জন্য বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জহুরুল ইসলাম।
উক্ত বক্তব্যে এলাকার মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।
অতঃপর মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ মাদক ক্রয় বিক্রয় না করিলে তাদের সংসার চলিবে না বলিয়া বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করেন।
এমত অবস্থায় আমি গত (১৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকায় সময় উক্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের মাসিক খাবার খরচ দেওয়ার জন্য ৭০ হাজার টাকা সঙ্গে লইয়া বাসা হইতে বাহির হই এবং সনকৈড় মৌজার উত্তর-পশ্চিম শেষ সীমানায় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধের পাশে আমার পটল-ক্ষেত দেখিয়া উক্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানা যাইবে বলিয়া মনস্থির করি।
আত্রাই নদীর বেরিবাধের কাছে পৌঁছালে মাদক ক্রয় বিক্রয় ও সেবন ও পানকারি আসামি ১.জুলফিকার হোসেন ভুট্টু(৫০) পিতা মৃত মফিজ উদ্দিন । ২. দিদারুল ইসলাম (৪২) পিতা মৃত অছিরত আলী। ৩. মিলন হোসেন (৩২) পিতা মৃত শফিকুল ইসলাম । ৪. জিয়াবুর রহমান (৩৫) পিতা মৃত জাকির হোসেন। ৫. রফিকুল ইসলাম (৬০) পিতা মৃত মফিজ উদ্দিন। ৬. সাজ্জাদ হোসেন (২৭) পিতা- দিদারুল ইসলাম।৭. বিশাল হোসেন (২৩) পিতা জুলফিকার হোসেন ভুট্টু। ৮. মাহবুব ইসলাম (৫০) পিতা মৃত খলিল উদ্দিন। ৯. জুয়েল হোসেন (২২) পিতা মোঃ আলম। ১০. বাবু হোসেন (৫২) পিতা মৃত সুসার উদ্দিন সর্বসাং সনকৈড়,১১. রজব আলী (৫০) পিতা মৃত নিজাম উদ্দিন সাং পশ্চিম সাঁতার সর্ব থানা চিরিরবন্দর, জেলা দিনাজপুর সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে বেআইনি জনতার দলবদ্ধ হইয়া একই সাধারণ অসৎ উদ্দেশ্য আমার নিকট উক্ত ঘটনাস্থলে আসে। ১নং আসামি জুলফিকার হোসেন ভুট্টু বলে শালা তুমি গতকাল মিটিংয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ভাষন দিয়াছ,বেটা নেতা হইছো, তোমার নেতাগিরি দেখাই দিচ্ছি বলিয়া আসামিগণ বলে এখন তো আর মাদকের ব্যবসা চলবে না। এখন আমাদের সংসার চালানোর জন্য ২ লক্ষ টাকা চাঁদাদে। ঘটনাস্থল থেকে পালাতে চাইলে তারা পথরোধ করে । ১নং আসামি জুলফিকার হোসেন ভুট্টু গলায় ছুরি লাগিয়ে পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে বের করে নেয় এবং ২নং আসামি দিদারুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক বাহির করে নেয়। আবারো পালানোর চেষ্টা করলে তারা সবাই মারা মারি সহ জীবননাশের চেষ্টা করে। এলাকার সাক্ষীসহ স্থানীয় লোকজন আগাই আসলে তারা পালানোর সময় বলে যায় যে প্রতি মাসে তাদের ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে হত্যা করার হুমকি দিয়ে যায়।
চিরিরবন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশিদ বলেন, বাদি বিবাদি দুই পক্ষে থানায় এজাহার দিয়েছে। তন্দন্ত সাপেক্ষ আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে দোষিদের বিরুদ্ধ।
মন্তব্য