সব
মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট করতে আসা হুমায়রা (১৬) নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা আবু তাহের (২২) নামের এক দালালকেও আটক করা হয়। সে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার গোয়াইলমারা গ্রামের মো. ইলিয়াসের ছেলে।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ বলেন, আটককৃত ওই রোহিঙ্গা নারী মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর চান্দহর গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের মেয়ে তাসনিম বেগম পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে জন্মসনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চারিত্রিক সনদপত্র জমা দেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, রোহিঙ্গা হিসেবে তিনি নিবন্ধিত হয়েছেন। রোহিঙ্গা ডাটাবেজে তার নাম হুমায়রা, পিতার নাম হামিদুল্লাহ ও রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯।
নাহিদ নেওয়াজ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেছেন তিনি রোহিঙ্গা। পরে ওই নারীকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজারের দালাল আবু তাহেরের সহযোগিতায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকার এরশাদ নামের এক দালালের মাধ্যমে এক লাখ টাকা চুক্তিতে পাসপোর্ট করতে আসেন ওই রোহিঙ্গা নারী। এজন্য এরশাদকে অগ্রিম দেওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা। তবে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের হাতে ওই নারী ও আবু তাহের আটক হওয়ার পর সটকে পড়েন স্থানীয় দালাল এরশাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্মসনদ জমা দেন।
চারিত্রিক সনদপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, এটা একটা জাল সনদ। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার না। ওখানে যে তারিখ দেওয়া আছে ওই তারিখে আমি কোন সনদ দেইনি।
মন্তব্য