সব
ময়মনসিংহে গোলাপজান রোডে নকশা বর্হিভূত বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণে সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ উঠেছে।
ময়মনসিংহে নকশা বর্হিভূত বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত করেছে সিটি কর্পোরেশন, প্রতিবেশীর অভিযোগ নির্মাণ কাজ চলছে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা!
ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি ১৩/খ গোলাপজান রোডস্থ ১০তলা বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনটির চতুর সীমানা নির্মাণ আইন অনুযায়ী কোন জায়গা রাখা হয়নি সীমানা বাউন্ডারী ওয়াল বরাবর ১০ তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হলেও নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের সংশ্লিষ্ট বৈধ কোন কাগজ পত্র দাখিল করিতে না পারায় পুনরায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন বিভাগ স্মারক নং-৪৬.২১.৬১০০.০০৪.১৮.০০০. ২২.১৪৬৮ তারিখ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং মোতাবেক ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষকে কাজ স্থগিত রাখার নোটিশ ইস্যু করা হয়।
ইতিপূর্বে আজকের বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নির্মাণাধীন ভবনে সকল প্রকার কাজ স্থগিত রাখার জন্য বিভিন্ন স্মারকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক একাধিক সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই অদৃশ্য কারণে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে।
অপর দিকে নকশা বর্হিভূত নির্মাণ কাজ অভিযুক্তরা চালিয়ে যাচ্ছে। নগর বাসীর ধারনা অবৈধ অর্থের ছড়াছড়ির কারনে নকশা বর্হিভূত বিল্ডিং কোড আইনের শাসন বাস্তবায়নে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্রসহ নকশার পরিমাপ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে মহল্লাবাসী।
প্রসঙ্গত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং কোড আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণ করার যেমন অনেক অভিযোগ রয়েছে, ইতি মধ্যে বেশ অনেক গুলো নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে, সিলগালা ও তালা লাগানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্তে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার প্রশংসা কুড়িয়েছেন সিটি কর্পোরেশন।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নগর পরিকল্পনাবিদ গৃহায়ন নির্মাণে নকশা অনুমোদন এর প্রথমিক নকশা তৈরীর কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে নির্মাণ কাজ শুরু এবং বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণে ব্যক্তি মালিকানা এবং বিভিন্ন হাউজিং নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং কোড নিয়ম নীতিমালা উপেক্ষা করে যে যার মতো অধিক মুনাফা অর্জন করার জন্য ভবন নির্মাণে বেশী ব্যস্ত হয়ে পরেছেন কতিপয় সিন্ডিকেট। যাহার দরুণ ভুমির পরিমান ও সীমানা নীতিমালায় বিল্ডিং কোডের আইন অমান্যের হিরিক পরে গেছে। সেই সাথে অনুমোদিত নকশার ইনডোর, আউটডোরে ব্যাপক গরমিল করে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
জানাযায় যাদের অর্থায়নে বিল্ডিংটি নির্মিত হচ্ছে এই বিল্ডিং নির্মাণ এর সাথে যুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, মোহাম্মদ মতিউর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, শফিউদ্দিন শেখ, আব্দুল মান্নান সহ ১৭ জন শেয়ার হোল্ডারদের নাম পাওয়া গিয়াছে। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, উঁচুমানের প্রফেসর,ব্যবসায়ী,ডক্টরেট ডিগ্রীধারী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা পর্যায়ের লোকজনসহ, বিচার বিভাগীয় সম্মানীয় পেশায় নিয়োজিতরা রয়েছেন। যারা সমাজের জ্ঞানদানসহ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার কাজে যুক্ত তাঁদের দ্বারা আইন অমান্য করার মত ঘটনায় নগরবাসী বিস্মিত।
নকশা বর্হিভূত বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান বাবুল অভিযোগ করায় এই ভবন নির্মাণে জরিতদের মধ্যে একজন মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক অভিযোগ আনয়ন করেছিলেন। সিনিয়র সাংবাদিক পরিবারের উপর থানা পুলিশে অভিযোগ করে হয়রানি করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছেন।
এছাড়াও আইন কানুন নিয়ম মেনে কাজ করতে বলায় ইতিমধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের সংশ্লিষ্টরা স্থানীয়দের হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। অথচ প্রতিবেশীদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রতিবেশীদের নিজস্ব রাস্তা ব্যবহারে রয়েছে অনেক ঝুকি যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
মন্তব্য