সব
ময়মনসিংহে জাল দলিল ও নাম খারিজ সৃজনকারী চক্রের মুলহোতা আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ সময় তার কাছ থেকে সৃজনকৃত ৮টি জাল দলিল, বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও ইউনয়িন ভূমি সংশ্লষ্টি অফিসের ২০ ধরনের কর্মকর্তাদের ৬২ টি সিল, ৩৬টি খোলা রাবার সিল, ১৪টি খোলা রাবার সিলের প্লাষ্টিক হোল্ডার, ২ টাকা মুল্যের ১১০ পাতা অনুলিপি স্ট্যাম্প, আড়াই টাকা টাকা মূল্যের ১৩ পাতা, চারটাকা মুুল্যের একপাতা, ৫ টাকা মূল্যের ৮ পাতা অনুলিপি ষ্ট্যাম্প,৭ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-০১ পাতা, ৮ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-০১ পাতা, ৯ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-০১ পাতা, ১০ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-৩৬ পাতা, ২০ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-৩ পাতা, ৪০ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-১ পাতা,
৫০ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-০১ পাতা, ১০০ টাকা মূল্যের অনুলিপি ষ্ট্যাম্প-০২ পাতা, জাল দললি সৃজনের কাজে ব্যবহৃত খসড়া কাগজ ১৫০ পাতা উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার চর ঈশ্বরদিয়া তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জেলা সদরের চর ইশ্বরদিয়ার আলমগীরের বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র ভূমি সংশ্লিষ্ট জাল দলিল ও নাম খারিজের দলিলাদি সৃজন করে আসছে । এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল রবিবার অভিযান চালিয়ে উক্ত চক্রের মূলহোতা আলমগীর হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও চক্রের অন্যান্য সদস্যরা নতুন দলিল সৃজনসহ দলিলের ভিতরে নতুন করে খতিয়ান, দাগ, নাম পরিবর্তন করে বিবাদ রয়েছে এসব জমিতে যে জমির মালিক নন তাকে জমির মালিক বানিয়ে দিত বলে স্বীকার করে।
এছাড়াও, নামজারির ক্ষেত্রে নতুন নাম সংযুক্ত করাসহ যে জমি প্রাপ্য নয় তাদের নাম সংযুক্ত করে তাদের সেই জমিতে অংশীদার বানিয়ে দিত এবং তারা জমির প্রকৃত মালিকদের নাম বিলুপ্ত করাসহ জমির পরিমান কমিয়ে অন্যদের নতুন করে নামজারি করে তাদের জমির অংশীদারী করে দিত বলে দাবি করে।
চক্রটির আরো অন্ততঃ ৪ জন সক্রিয় সদস্যের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে পুলিশ জানায়। এদেরকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য