সিটিবাসীর কি দূর্ভাগ্যের বিষয় চোখের সামনে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে ফেললেন নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া এর কিছুই জানেন না বলে জানান। জিল্লুর রহমানের আরেকটি চমকপ্রদ ও ধান্ধাবাজির কৌশল হলো যেদিনই আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটলো ঠিক সেই সময়েই একরাতের মধ্যে জিল্লুর রহমান সমস্ত, LED লাইটে আচ্ছাদিত নৌকা ভেঙ্গে চুরে সরিয়ে ফেললেন সেই সাথে নিজেকে বিএনপি সমর্থিত বলে ভাবসাব দেখাতে লাগলেন। একেই হয়তো বলা হয় যাহা লাউ তাহাই কন্দ্র। এখানে আরও উল্লেখযোগ্য যে নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান যে একজন ভয়াবহ দূর্ণীতিবাজ সেটাই প্রমান করে। যার কারণেই তৎকালীন আওয়ামী লীগের পেটুয়া খাদক বাহিনীর মদদে এবং তাদের কাছ থেকে বাহবা নেবার জন্যে কৌশলে এই কোটি টাকার প্রজেক্ট বানিয়ে ছিলেন যা আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের সাথে সাথেই এক নিমিষে তিনি নিজেই আবার খেয়ে ফেললেন। মাঝখান থেকে ময়মনসিংহ সিটিবাসির ট্যাক্সের টাকা মেরে খেয়ে ফেলেছেন এই বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান আরও জানাগেছে পিডি অর্থ্যাৎ প্রজেক্ট ডিরেক্টর তিনি নিজেই সেজে কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে তিনি নিজেই ঠিকাদার সেজে এই প্রকল্পের কর্মকান্ড চালিয়ে গেছেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা জিল্লুর রহমান একই জায়গায় প্রায় ২০ বছর যাবৎ উর্ধতন কয়েকজনকে খুশী রেখে পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগে নিজের ক্ষমতা ও হাডাম দেখিয়ে এই বিভাগ দুটিতে লাগাতার অনিয়ম ও দুর্ণীতি চালিয়ে যাচ্ছেন সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে তিনি এখন নিজেকে বিএনপি সমর্থিত দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন এলাকায় নৌকা মার্কার LED লাইট সহ সবকিছুই সরিয়ে ফেলেছেন বলে দেখা গেছে। জানাগেছে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের পতন ঘটলেও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মসিকের দূর্নীতিবাজ আওয়ামী সমর্থিত কর্মকর্তা- কর্মচারীরা রাজকীয় ভাবে বহাল তবিয়তে দিন কাটাচ্ছেন। সচেতন সিটিবাসি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার
জোর দাবী জানিয়েছেন।
মন্তব্য