সব
মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য জবাই করে হত্যা করা হয় সাতক্ষীরার আলোচিত চা দোকানদার সুলতানপুর এলাকার নিহত ইয়াছিন আলীকে।
আটক হওয়া হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী শেখ জাকির হোসেন(৫৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব-৬ সাতক্ষীরা আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে:কর্ণেল মোস্তাক মোর্শেদ জানান।
সাতক্ষীরা শহরের কাঁঠালতলা গুচ্ছ গ্রামের এলাকার নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানান, ভিকটিম খুনির পূর্ব ব্যবসায়িক পার্টনার। ব্যবসার সুবাদে খুনি ভিকটিমের কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। কয়েকবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও টাকা পরিশোধ করে নাই। যে কারণে অভিযুক্ত জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গত (৩০ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে বাইপাস সড়কে ঘর উঠানোর কাজ করার কথা বলে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে নিয়ে আসে ইয়াছিন আলীকে। রাত গভীর হলে সুযোগ বুঝে রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। ইয়াছিন আলী মাটিতে পড়ে গেলে তখন এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ইয়াছিনের শরীর হতে মস্তক আলাদা করে অভিযুক্ত জাকির হোসেন।
পরবর্তীতে মাথাবিহীন মৃত দেহ টেনে রাস্তার পার্শ্বে পানিতে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দুরে ব্রিজের নীচে ডোবার মধ্যে মাথা ফেলে যায়। পরের দিন (৩১ আগষ্ট) এলাকার লোকজন রাস্তার পার্শ্বে পানিতে লাশ পড়ে আছে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এই সংক্রান্ত ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাথাবিহীন লাশের হত্যাকারীকে (৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে মাথাবিহীন লাশের মাথা উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য