সব
গত ৫ আগস্টের পর এই প্রথম দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ব্যক্তি বা মুখপাত্রের নাম উল্লেখ না করে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নাতিদীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। ওই স্ট্যাটাসকে দলের বিবৃতি হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ স্বমহিমায় ফিরে আসবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে পিটিয়ে মারা, চাঁদাবাজি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে- কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিল।
৫ আগস্টের পর থেকে নানা মাধ্যমে বার্তা-বিবৃতি দিলেও সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেরিফায়েড আইডি ছাড়া কোনো নির্দেশনা বা বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়। দলটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যা-ই বলবেন, সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বলবেন।
৩ অক্টোবরের দেওয়া স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগ দাবি করেছে- ৫ আগস্টের পর সারা দেশে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, বসতভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল এবং নির্যাতন করা হচ্ছে। সবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সাধারণ মানুষও চাঁদাবাজি ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
দলটির দাবি, এই সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশের সব শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত সব জঙ্গিকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী প্রহরায় মুক্তি দিয়ে আরও বেশি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ সন্ত্রাসীরা বুঝে গেছে, অপকর্ম করলে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, সাধারণ মানুষসহ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং এখনই এই নারকীয় অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে ইনশাআল্লাহ্।
সুত্রঃ কালবেলা
মন্তব্য