সব
মঙ্গলবার ১৪ মে সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে “জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সকল আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে ওয়েবসাইট joybanglamarathon.com উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি ও পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম।
এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাধন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই দিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ‘৭ই মার্চের ভাষণ’ নামে পরিচিত এই ভাষণটি বাঙালি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ৭ই মার্চ, ১৯৭১, বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে। আর ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন শুরু হয়েছিল যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনগুলো স্মরণে রাখতে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে সুস্থ ও সক্রিয় লাইফ স্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।
পিবিআই প্রধান জানান, হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ৪টি কাটাগরিতে মোট ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবেন। ৪টি কাটাগরি হলো ১৬ থেকে ৫০ বছর ও ৫০ থেকে তদুর্ধ্ব নারী ও পুরুষ। প্রতিযোগীদেরকে ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটির পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদান ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাক জুড়ে একাধিক মেডিকেল টিম, হাইড্রেশন পয়েন্ট ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৬ বছরের উর্ধ্বে যে কোন নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব প্রতি বছর ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মিল ব্যারাক ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪০০/৮০০ মিটর দৌড়সহ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করতো, যার অংশগ্রহণকারী ছিল পুলিশ সদস্যরা। আমরা বৃহৎ পরিসরে সাইক্লিং ও ম্যারাথন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। ম্যারাথন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এর বাস্তবায়নে অনেকদূর এগিয়েছি। সকলের সহযোগিতায় এ মেগা ইভেন্টে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।
“জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪” এর সভাপতি ও ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রথম বারের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ৫ হাজার প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ থাকায় কার্যপরিধি বিশাল। সময় কম হলেও আমরা তা করছি। ম্যারাথন অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
joybanglamarathon.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ওয়েবসাইটে বিস্তারিত নিয়ামাবলী ও শর্তাবলী উল্লেখ আছে। ম্যারথন উপলক্ষে Joy Bangla Marathon 2024 ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। ফেসবুক পেজ থেকেও নিয়মিত আপডেট জানা যাবে।
আগামী ৭ জুন এই ম্যারাথন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, পুরস্কার বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান খান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম-বার, পিপিএম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’ এর সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বিপিএম, পিপিএম-বার; ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা বিপিএম, পিপিএম-বার; বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম (বার); বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু; ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্) মোঃ ফারুক হোসেন; পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর, পিপিএম; বারডেম হাসপাতালের ডা: সাকলায়েন রাসেলসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য