সব
পুলিশ জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই শ্লোগানে ময়মনসিংহে ঝাকজমকপুর্ণ পরিবেশে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ উপলক্ষে র্যালী, আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পুলিশ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আয়োজনে শনিবার এই র্যালী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে নগরীর কালিঝুলি মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালী উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি।
এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যালীটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এর সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের অংশীদারত্বই হলো কমিউনিটি পুলিশিং। রাজনীতির একটা নিয়ম আছে। সেই নিয়ম হলো, দেয়াল লিখন, মিছিল, মিটিং হবে। জালাও পোড়াও অগ্নিসংযোগ মৃত প্রায় মানুষের উপর লাফালাফি এ কেমন রাজনীতি।
গত ২৮ অক্টোবর রাজনীতির নামে যেভাবে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা, হাসপাতালে আগুন, সরকারি বেসরকারি সম্পদ নষ্ট করা হয়। এই হত্যাকান্ড, অগ্নিসংযোগ ২০১৪ সালকে মনে করে দেয়। আমরা এ ধরনের রাজনীতি চাই না।
মুখ্য আলোচক হিসেবে রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, যাদের জন্য আমরা কাজ করছি, তাদের প্রতিনিদধিদের সাথে আজ পুলিশ ও জনগনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একত্রে বসেছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশকে আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট পুলিশ প্রয়োজন। এ লক্ষে পুলিশ বাহিনী গনমুখী প্রতিরোধমুলক কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জনগণের পক্ষ থেকে যারা কাজ করছেন, যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের দায়িত্ব হলো পুলিশ যাতে সঠিকভাবে কাজ করে। এলাকায় চুরি ছিনতাই ডাকাতি ও মাদক ব্যবসায়ী কারা এটা আপনারা জানেন এবং কোন পুলিশ সদস্য জনগণের সাথে খারাপ আচরণ এবং দায়িত্বে অবহেলা করে তাও আপনাদের জানা রয়েছে। এ সব তথ্য জানান, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে একটি শান্তিময়, নিরাপদ, বাসযোগ্য সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাহলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাওয়া পুরণ করা সম্ভব হবে।
আমরা চাই, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় অতীতের অক্ষমতা দুর করে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, পুলিশের সাথে বন্ধুত্বশীল আচরণ করে যেকোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ পুলিশকে সহযোগিতা করবে। এটাই হলো কমিউনিটি পুলিশিং।
তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যরা সোচ্চার থাকলে আগামী দিনে সকল ধরনের নাশকতা রোধ করা সম্ভব হবে। দুষ্কৃতকারী অপরাধীরা ভয় পাবে। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যাম অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, সহ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহ সভাপতি সফিক উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সাজ্জাদ প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উপস্থিত ছিলেন।
পরে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনায় জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তা ও ফুলপুর থানার এস আই সুমনকে পুরস্কৃত করা হয়।
মন্তব্য