সব
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক লাইসেন্স গ্রহণের প্রস্তাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় স্থানীয় তিলোত্তমা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত লিখিত সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন জাতীয় ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) রংপুর জেলার সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে গঠিত কমিটি গুলোর প্রতিনিধিগণ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ নীতিমালা-২০১৬, এসএমই নীতিমালা-২০১৯ ও অর্থনৈতিক কর্ম পরিকল্পনা, এসডিজি-২০৩০ অর্জন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। নিত্য প্রয়োজণীয় জিনিস বিস্কুট, চা, পান, সিগারেট যা সকল স্থানে চলমান রয়েছে যা থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ লোক জিবীকা নির্বাহ করছে। যে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপ অনিশ্চিত হয়ে পরবে। তাই আমরা চাই।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের লক্ষ্যে প্রনীত খসড়া আইনে ‘বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত তামাক ও
তামাকজাত বিক্রয় নিষিদ্ধ করণ, ধুমপান এলাকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করণ, খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধ করণ, পাবলিক প্লেসের সাথে চায়ের দোকান অর্ন্তভূক্ত করণ, বিক্রয় স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করণ, ফেরি কওে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করণ ও সার্বিক ভাবে জরিমানার পরিমান মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি করণ এবং যে কোন প্রকার অভিযোগের ক্ষেত্রে ফৌজ দারী কার্যবিধি অন্তভূক্ত করণ’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়ন হলে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেও জীবন-জীবিকার উপর আঘাত আসবে। এমতাবস্থায় বিষয়াদী বিবেচনা করে এমন অবাস্থব আইন প্রণয়ন না করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সু-দুষ্টি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, নাসিবের সহ-সভাপতি আশরাফুল আনসারী, মুহম্মদ ওয়ালিদ প্রামাণিক, খাদিজা বেগম শোভা, নাসিবের মহিলা কাউন্সিলের সভাপতি সামসি আরা জামানসহ অন্যান্য সদস্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
মন্তব্য