সব
বাংলাবান্ধা বিজিবি ক্যাম্প থেকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখা পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবৈধ পাথর ক্রাসিং মেশিনের শব্দ ও ধূলায় রাস্তা পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সড়কের দুপাশে উন্মুক্তভাবে প্রায় শতাধিক পাথর ক্রাসিং মেশিন বসিয়ে লোড-আনলোড, নেটিং ও ক্রাসিং করে আসছে এলসি পাথর ব্যবসায়ীরা। তারা নিজস্ব চৌহদির বাইরে মহাসড়কের ওপরেই খোলামেলাভাবে পাথর ক্রাসিং ও লোড-আনলোড করায় পাথর ক্রাসিং মেশিনে ধূলাবালি ও প্রচণ্ড শব্দে বিজিবি ক্যাম্প থেকে ২ কিলোমিটার জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর যাতায়াতের একমাত্র সড়কটিতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে গড়ে দুইশ থেকে আড়াইশ জন যাত্রী পারাপার হন। কিন্তু জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাবান্ধা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের পাথর ক্রাসিংয়ের ধূলা-বালিতে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়। এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ব্যবসায়ীদের মহা-সড়ক থেকে পাথর কোয়ারি সরিয়ে সুরক্ষিত স্থানে বসানোর আদেশ জারি করা হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
অপরদিকে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পাথর ক্রাসিং মেশিনে কয়েক হাজার শ্রমিক কোনো রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই পাথর ক্রাসিং মেশিন, নেটিং ও ডেম্পিংয়ের কাজ করছেন। এভাবে ক্রাসিং মেশিনে পাথর সাইটে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জিনিসপত্র ব্যতীত কাজ করায় শ্রমিকরা নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা সুস্থতার জন্য স্থানীয় কেমিস্ট ও পল্লী চিকিৎসকের কাছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে সাময়িক সুস্থতা লাভ করে।
মন্তব্য