সব
সাতক্ষীরা জেলার ২৯২টি অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন। অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলার সাতটি উপজেলার অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে সুবিধাজনক যেকোন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন বলে প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ২৯২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১টি। তালা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৮টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪টি।
কলারোয়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি। কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৩টি। আশাশুনি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮টি। দেবহাটা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি। শ্যামনগর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও জানা যায়, অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ টাকা ব্যয়ে একেকটি পাকা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবেই জেলার ২৯২জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২
ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ ঘরটিতে ২টি বেড রুম, ১টি ড্রইং রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম ও ২টি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
মন্তব্য