সব
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, তারেক রহমান ফেসবুকে ছড়ায় ডিসেম্বরের ১১ তারিখ নাকি ঢাকা এয়ারপোর্টে আসছেন ইমাম খোমেনি স্টাইলে। বিশ্বাস করেন কেউ তাকে? ওই খুনিকে কেউ বিশ্বাস করে না। ওই নাম শুনলে মানুষ ভয় পায়। বড় লোকদের বাড়ীর সামনে লেখা থাকে কুকুর থেকে সাবধান! বাংলাদেশের জণগনকে বলি তারেক রহমান থেকে সাবধান।
ওবায়দুল কাদের সোমবার বিকেলে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন, জয়বাংলা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার আদর্শসহ সকল কিছুই নিষিদ্ধ হয়েছিল। এই নিষিদ্ধের মূলহোতা হচ্ছে খন্দকার মোস্তাকের প্রধান সেনাপতি জিয়াউর রহমান। আজ জিয়াউর রহমানের সন্তান তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলার সেই মাস্টার মাইন্ড নেতৃত্ব দিয়েছিল হাওয়া ভবন থেকে। সেই অর্থপাচারকারী তারেক রহমানের কত টাকা আছে বিদেশে কেউ জানে না। সুইচ ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে তার। সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় ধরা পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। ঢাকায় এসে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। সেই মামলায় তারেকের ৭ বছরের জেল হয়েছে। তারেক রহমানের কত বাড়ী আছে বিদেশে? কত মার্কেট আছে বিলাস বহুল এর কোন হিসাব নেই। সেই তারেক রহমান এখন মির্জা ফখরুলে নেতা।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বিশ^াসঘাতকতা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীতে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, হত্যা করা হয়েছে তার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকলকে। সেদিন ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকেও তারা ছাড় দেয়নি।
খেলা হবে কথা বলে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খেলা হবে তৈরি আছেন তো? ডিসেম্বরে খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। মারামারি, পাল্টাপাল্টি, কোন বাঁধা নয়, বিএনপি মিটিং করুক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এটা আমরা চাই। আগুন আর লাঠি নিয়ে আসলে খেলা হবে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আগুন আর লাঠি নিয়ে খেলা করবেন আর আমাদের নেতারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ললিপপ চুসবে এটা হবে না। আমরা প্রস্তুত আছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আড়েং, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন এমপি, বেগম হোসনে আরা এমপি, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পরে সম্মেলনের কাউন্সিল দ্বিতীয় অধিবেশনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে সভাপতি, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীকে সহ-সভাপতি ও বিজন কুমার চন্দকে সাধারণ সম্পাদক পদে ঘোষনা দেন।
মন্তব্য