সব
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার ডাহুক নদী এখন পাথর খেকোদের অভয়াশ্রম হয়ে দাড়িয়েছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে বিক্ষিপ্তভাবে ট্রাক্টর দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। ফলে নদী যেমন তার চিরচেনা রুপ, বৈচিত্র্য হারাচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে নদী সংলগ্ন ব্যাক্তিগত জমি ও বাগান। ফলে দিন দিন নদী তার গতিপথ পাল্টে ভিন্ন দিকে ঘুরে যাচ্ছে। বর্ষাকাল হলেও নদীতে তেমন পানি নেই। নদীর পানি কমে চরের তৈরী হচ্ছে। নদী গভীরতা হারিয়ে প্রশস্ত হচ্ছে। যার কারণে বর্ষাকালে একটুতেই নদীর পানি বেড়ে দুকূল ভরে যাচ্ছে। সেই পানিতে স্থানীয় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ইরি বুলো ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডাহুক নদী তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বালাবাড়ি-সরকার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাহুক নদীতে ট্রাক্টর দিয়ে নদীতে গভীর গর্ত করে বালু তুলছেন স্থানীয় লোকজন। এতে করে নদী তার চিরচেনা রুপ হারিয়ে চরে পরিণিত হচ্ছে। কমছে পানি প্রবাহ। নদীর প্রশস্ত বেড়ে কমেছে গভীরতা। নদীর দুই তীর ভেঙ্গে অনেকে জমি-বাগান হারিয়েছে।
নদীতে জমি ও বাগান হারানোদের একজন উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের বালা বাড়ি গ্রামের কৃষক মো; জমিরুল ইসলাম( জমরুল) জানান,প্রতিনিয়ত পাথর উত্তোলনের ফলে ১২/১৩ বিঘা জমিতে ইরি বুরো আবাদ অনিশ্চিত মধ্যে পড়েছে। ডাহুক নদীতে বালা বাড়ি মৌজার তার অনেক জমি চলে গেছে। সেই সাথে তার একটি বাঁস বাগানের একটি অংশ নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ওই এলাকার নদীর বর্তমান গতিপথ প্রবাহিত হচ্ছে তার জমির উপর দিয়ে। পাথর খেকোরা বর্তমানে নদী থেকে পাথর তুলে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে বাধাঁ সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন ডাহুক নদীর বালাবাড়ি-সরকার পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে পাথর তোলা হচ্ছে। এতে করে নদীর পাড় ভেঙে আমার জমি ও বিভিন্ন গাছের বাগান দিন দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের জুয়েল , শাহিন,মকছেত জাকেরসহ ১৫ থেকে ২০ জন নদীর ওই অংশে পাথর উত্তোলন করছে। তারা মুলত সন্ত্রাসী, নদী খেকো, ড্রেজারের হোতা। আমি তাদের পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে বললে তারা আমাকে উল্টো শাসায়, হুমকি দেয়। আমি এই দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে তেতুঁলিয়া শালবাহান ইউপি চেয়ারম্যান মো; আশরাফুল ইসলাম জানান,ডাহুক নদীতে চলতি মৌসুমে ইরি বুরো আবাদ করবে কৃষক প্রান্তিক চাষিরা সমস্যা নেই,তবে
এক ইঞ্চি জমিও পরিত্যক্ত/অনাবাদি রাখা যাবে না’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন তিনি পাথর উত্তলন বন্ধ করতে পারবেন না বলেন।
এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মো; ইদ্রিস আলী জানান,তিনি অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত ভুমি কর্তকর্তার হিসেবে আরো ৩ টি অফিসের দায়িত্ব পালন করছেন,হিমসিম খেতে হচ্ছে,ডাহুক নদীতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তলন করছে সত্যি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান।
মন্তব্য