সব
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হামলায় নিহত দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে এখনো থামেনি শোকের মাতম। প্রতিদিনই বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আর্থিক সহায়তাসহ দেয়া হচ্ছে নানা আশ্বাস।
স্বামী ও সন্তান হারানোর বেদনায় পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর। পরিবারের একমাত্র উপার্জণক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে শোকের মাতম যেন তাদের পরিবারের এখন নিত্যসঙ্গী।
সোমবার সকালে ময়মনসিংহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান। এসময় তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তাগণ দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ২৫ হাজার টাকা, শীত বস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন দিপুর পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়। পাশাপাশি দীপুর স্ত্রীকে চাকরির প্রদানের ঘোষনাও দেন জেলা প্রশাসক। এদিকে দিপুর পরিবারের নিরাপত্তায় ওই বাড়িতে সার্বক্ষনিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। সহযোগিতাসহ সবসময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তার মরদেহ বিবস্ত্র করে গাছে ঝুলিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মন্তব্য