সব
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, বিগত সময়ে বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনের দায়িত্বে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যন্ত বির্তর্কিতদের তালিকা করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) তাদের চিহ্নিত করছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও চাচ্ছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই পুলিশ নিজের ইচ্ছায় প্রশিক্ষত হচ্ছে। কিভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া যায়।
আইজিপি বলেন, আমি আমার ৩৫ বছরের পুলিশি জীবনে শুনিনি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও অপরাধ দমন করা এগুলো আমাদের মান্ডেডেট (মৌলিক) কাজ। একাডেমিতে আমরা আমাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ যখন নেই, তখন রেফ্রেশান প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এগুলো আমাদের মধ্যে আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম নির্বাচনী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি। মূলত আমাদের বেদনাদায়ক যে অভিজ্ঞতা আছে, আগের তিনটা ইলেকশন ১৪, ১৮ ও ২৪ যেখানে যেটা নিয়ে নানান বিতর্ক এসেছে, নানান ধরনের সমালোচনা আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরাও সেই সমালোচনারও অংশীদার হয়েছি। কারণ আমরাও তিনটি নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেছি। আমরা ভুলগুলো করেছি বা করতে বাধ্য হয়েছি। সেগুলো আর যেন না করি। ওই ভুলগুলো যেন শুধরাতে পারি, এই জন্য সমস্ত ব্যাড প্র্যাকটিস, ম্যাল প্র্যাকটিস, পক্ষপাতিত্ব না করে সব ঝেড়ে ফেলে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি অঙ্গীকার দিয়েছি। সেই অঙ্গীকারের মতে সুন্দর একটা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আমরা তা পূরণ করতে পারব।
ক্রসফায়ারে সন্ত্রাস দমন না করে আইনের শাসন সমুন্বত রেখে পুলিশের লক্ষ্য উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, অপরাধীকে আদালতে পাঠিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল লক্ষ্য। সমাজের প্রতিটি মানুষ আমাদের শক্তি। তবে পুলিশের একার পক্ষে সব সমাধান করা সম্ভব নয়।
আগামী নির্বাচনে সাইবার সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জায়গায় আমরা দুর্বল। কিছু ব্যক্তি মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সোস্যাল মিডিয়ায় এআই দিয়ে যা ইচ্ছা তাই ভাইরাল করছে। তবে এটি আমরা প্রথমে বিটিআরসিকে জানাচ্ছি। বিটিআরসি ফেসবুকের মেটাকে জানিয়েছে। অনেক সময় ৪০ ভাগ সেগুলো অপসারিত করে মেটা। সবগুলো পরিত্যাজ্য করে না। এখানে পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এ সময় আইজিপির সঙ্গে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজউল করিমসহ খুলনা বিভাগের পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য