সব
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কাবিখা প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই খাদ্যশস্য উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ১৯৮.৭৭৯ মেট্রিক টন চাল ও সম পরিমার ১৯৮.৭৭৯ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ হয়। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কাবিখা প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই গত ৩০ জুন ডিও নিয়ে খাদ্যশস্য বিক্রি করা হয়।
উপজেলা বিভিন্ন প্রকল্পে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজিবপুর ইউনিয়নের সদস্য হযরত আলীকে প্রকূল্প চেয়ারম্যান করে টিচর নওপাড়া গ্রামের ঝিগাতলা আলমের বাড়ী থেকে শামসুদ্দিনের দোকান পর্যন্ত’ কাজের জন্য ৫টন গম বরাদ্দ দেয়া হলেও কোন কাজ হয়নি।
এবিষয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান কিছুই জানে না বলে জানান। একই ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য হাজেরা আক্তার রিনাকে প্রকল্প
চেয়ারম্যান করে ‘সিমারলুক এলাকার গিয়াস উদ্দিনের বাড়ী থেকে পুরাতন মসজিদ হয়ে সুরুজ আলীর বাড়ী পর্যন্ত’ কাজের জন্য ১০টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় আব্দুল হেলিমসহ একাদিক ব্যক্তি জানায় ৪/৫জন লোক নিয়ে রাস্তার পাশ থেকে মাটি নিয়ে একদিয়ে বড় বড় গর্ত গুলো ভরাট করে এতে ৩হাজার টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। ওই প্রকল্প চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগা হলে তিনি জানান ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।
এব্যাপার রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, ওই প্রকল্প গুলোতে কি কাজ হয়েছে সেটা আমার জানা নেই।
এছাড়াও মাইজবাগ ইউনিয়নের সদস্য আবুল কালাম ৫টন গম ও দেলোয়ার হোসেন ৯টন চাল পূর্বের প্রকল্পকে দেখিয়ে উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। তাঁরা বর্তমানেই কাজ গুলো করা হয়েছে বলে দাবী করেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করিম গণমাধ্যম কে বলেন, সরজমিন গিয়ে প্রকল্প গুলো দেখে কাজ করিয়ে নেয়া হবে।
মন্তব্য