সব
দেশজুড়ে চলমান পটপরিবর্তনের মধ্যেও ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের পেশাদারিত্বপূর্ণ কার্যক্রমে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছে।
সম্প্রতি ভালুকায় ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন ও দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের দক্ষতা ও তৎপরতা প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সদ্য যোগদানকারী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে শহর এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ দমনে ধারাবাহিকভাবে সফল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একাধিক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়া নগরীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে শহরবাসী পেয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। নিয়মিত টহল, সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের ফলে রাস্তাঘাটে জনদুর্ভোগ অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে।
জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম-এর তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় পুরো পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসপি ও তার সহকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জনগণের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের এ ভূমিকা যেন অব্যাহত থাকে—এমনটাই প্রত্যাশা নাগরিক সমাজের।
তবে, অপর একটি দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, কিছু থানা এলাকায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার নিয়ে বিভক্তিমূলক মতামত রয়েছে। বিশেষ করে, পতিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গণে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
তবে পুলিশ প্রশাসন বলছে, তারা সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের আলোকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কাজ করছে এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য