সব
শীতের সময় খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন। শরীর গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই রসুন। চিকিৎসকদের মতে, রসুন এমনই একটি খাবার, যা সব সময়ই আমরা মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি। তবে এই রসুনের কী কী উপকারিতা আছে অনেকেই জানে না।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
রসুনে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য। এটি নিয়মিত খাওয়া ঠাণ্ডা ও ফ্লুর মৌসুমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালিসিনে ভরপুর রসুনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং শীতের অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা প্রদান করে।
শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। শীতকালে খাদ্য তালিকায় রসুন থাকলে তা হৃৎপিণ্ডের সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখে। অ্যালিসিন রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে রসুন। ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।
প্রতিদিন খালি পেটে চার থেকে পাঁচ কোয়া রসুন খেতে ভুলবেন না। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণে ভরপুর এই রসুন। এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কাশির মতো উপসর্গগুলো নিরাময় করতে সহায়তা করে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যাকে প্রাকৃতিক প্রতিকার প্রদান করে রসুন। রসুনকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস।
এতে ভিটামিন সি, বি ৬, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম রয়েছে। তাই শীতে সুস্থ থাকতে, হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রতিদিন খালিপেটে রসুন খান।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রসুনের সংস্পর্শে থাকলেও অনেক উপকার মেলে। রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের তলায় এক কোয়া কাঁচা রসুন রেখে ঘুমান। এতে হতাশা দূর হবে, নেগেটিভ এনার্জি দূরে গিয়ে জীবন পজিটিভ এনার্জি, খুশি-আনন্দ-সাফল্যে জীবন ভরে উঠবে।
রসুন ওজন কমাতে এক্সপার্ট। বিশেষ করে পেটের মেদ। কাঁচা রসুনের মধ্যে থাকা সালফার শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, খাবার হজম করায়, বিপাকহার উন্নত হয়। ফলে শরীরের বেজাল মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং ওজন কমে ঝটপট।
রসুন যকৃৎ ও মূত্রাশয়কে ভালো রাখে। রসুন পেটের নানা গোলমাল, হজমের সমস্যা ও ডায়রিয়া সারায়, ফলে যকৃৎ থাকে সুস্থ। পাশাপাশি, রসুন স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মন্তব্য