সব
ময়মনসিংহ নগরীতে ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মশক নিধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মসিক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। এডিস মশার প্রজনন ও বিস্তার রোধে পর্যায়ক্রমে নগরীর ৩টি জোনের ৩৩ ওয়ার্ডে চলছে এ কার্যক্রম। নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে মেয়র টিটু’র কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মসিকের চৌকস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্র্যাশ প্রোগ্রামে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ময়মনসিংহ নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা শুন্যের কোটায় থাকার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও তারা সঠিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করার পরামর্শও দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে এবারও ডেঙ্গুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নগরবাসী। তাছাড়াও নগরবাসীকে সচেতন করতে বিতরণ করা হয় লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোষ্টার এবং দিনব্যাপী মাইকিং করা হয় প্রতিটি ওয়ার্ডে। নাগরিকদের মতে, এটি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অবদান। অর্ধশত মশক নিধনকর্মী পর্যায়ক্রমে ৩৩ ওয়ার্ডের দেড় শতাধিক হটস্পটে ফগার মেশিন দিয়ে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড ছিটানো হচ্ছে। নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এবং এগুলো মসিকের কর্মকর্তা-কাউন্সিলররা তদারকি করছে। মসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, যেকোনো স্থানে ৩ দিনের বেশি জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বিস্তার বাড়ে। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এডিস মশার লার্ভা জমিয়ে না রাখার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পরও নির্মাণাধীন কোনো ভবন অথবা প্রতিষ্ঠানে জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু যেকোনো মূল্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবিলা করে নাগরিকদের নিরাপদ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মশক নিধনসহ যেকোনো দূর্যোগে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানোর কারণে ময়মনসিংহ নগরীতে কখনও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ও মশক নিধন কার্যক্রম এবং সকলের সচেতনতায় এবারও আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত রয়েছি।
মন্তব্য