সব
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অচাষকৃত/ কুড়িয়ে পাওয়া শাকের রান্না প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বিড়ালক্ষী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠে বারসিকের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় ১০জন কৃষাণী ১০ ধরণের অচাষকৃত উদ্ভিদের শাক রান্না করেন। প্রতিযোগিতায় স্থানীয় কুলসুম বেগম কলমীশাক রান্না করে প্রথম, রোজিনা বেগম কচুশাক শাক রান্না করে দ্বিতীয় ও রিমা খাতুন থানকুনি শাক রান্না করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।
(২৫ আগষ্ট) বিকালে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমধর্মী এই রান্না প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু।
অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের মাঝে কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত উদ্ভিদের প্রতি মনোযোগ ও উৎসাহ তৈরী, কুড়িয়ে পাওয়া অচাষকৃত শাক সংরক্ষণ ও খাদ্য নিরাপত্তার গ্রামীণ নারীর সংগ্রামকে স্বীকৃতি জানাতে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের অতিথি গাজী কামরুল ইসলাম বলেন, আগে প্রকৃতিতে সব কিছুই পাওয়া যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে বর্তমানে প্রকৃতিতে অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না বা কম পাওয়া যাচ্ছে। লবণাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধি ও ফসল উৎপাদনে মানুষ অতিরিক্ত মাত্রায় নানা ধরনের রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে প্রকৃতির অনেক উপাদান হারিয়ে যেতে বসেছে। এর মধ্যে অন্যতম অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মানবসৃষ্ট বিপর্যয় ও নানাবিধ উন্নয়ন দুর্যাগের পাশাপাশি বিশ্ব আজ জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি। স্থানীয় মানুষের লোকায়াত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে সকলে মিলে সকলের সাথে এক বৈচিত্র্যময় সুখী দেশ ও সমাজ গড়তে কাজ করে যেতে হবে। প্রকৃতি সুরক্ষায় একতাবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
মন্তব্য