সব
পরকীয়া প্রেমিকা গ্রেপ্তার : সংগৃহীত
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় ঈদগাহের পাশে নীল ড্রামে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলায় প্রধান আসামি জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে আলামতসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব – ৩।
আজ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে গণমাধ্যম কে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে, মামলার পর মূলহোতা জরেজুল ইসলামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ দিকে এদিন সকালে সকালে শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় একটি মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় জরেজের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।
তারও আগে, সকালে মরদেহ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন আশরাফুল হকের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না আশরাফুলের। তিনদিন আগে বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকা আসেন তিনি। ঢাকা আসার পর থেকেই মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবশেষ তিনদিন আগে মোবাইল ফোনে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ করে জানানো হয়, মোবাইলটি তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন। পরিবারের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর থেকে আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন রাতেই খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর গণমাধ্যম কে বলেন, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতের নাম আশরাফুল হক (৪২), বাবার নাম মো. আব্দুর রশীদ ও মায়ের নাম এছরা বেগম। তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামে।
মন্তব্য