সব
কমরেড মণি সিংহের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে সাত দিনব্যাপী কমরেড মণি সিংহ মেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. দিবালোক সিংহ৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, ওয়াহেদ আলী, সিরাজুল ইসলাম, মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় কুমার সাহা,
জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি ইমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল,
যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল করিম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব সম্রাট গনি,সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এমদাদুল হক মিল্লাত, কমরেড হাফিজুল ইসলাম, সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী কান্ত সরকার, কবি বিদ্যুৎ সরকার, কবি শফিউল আলম স্বপন,উপজেলা সিপিবির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন মীর, সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, সদস্য শামছুল আলম খান, যুব ইউনিয়ন সভাপতি নজরুল ইসলাম সহ উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মহান নেতার স্মৃতির প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এরপর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কমরেড মণি সিংহ স্মরনে শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
সাতদিনব্যাপী মেলায় মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী,
জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিদিনই থাকবে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এম কে সি এম মাঠ চত্বরে মেলায় তিন শতাধিক দোকান বসেছে।মেলা চলবে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, টংক আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কমরেড মণি সিংহ।
১৯০১ সালের ২৮ জুলাই কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম মণি সিংহের।১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী কমরেড মনিসিংহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে তিনি পার্টির দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মৃত্যুবরন করেন।
মন্তব্য