সব
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার উকিলপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সাধন চন্দ্র পালের বাসায় চুরির ঘটনায় মালামাল উদ্ধারসহ তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব।
আটককৃতরা হলেন,দুর্গাপুর পৌরসভার দক্ষিণপাড়া এলাকার মোঃ সোলায়মান (২১),মোঃ ফজলু সরকার (৫০),চর মোক্তারপাড়া এলাকার মোঃ নূরুল আলম (৩৬)।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র পালের মৃত্যুর পর থেকেই বড় মেয়ে শশুর বাড়িতে আর ছোট মেয়ে পড়াশোনার জন্য বাহিরে অবস্থান করছে। মাঝে মধ্যে তারা এই বাসায় বেড়াতে আসেন। গেল বছরের ৫ নভেম্বর সকালে বড় মেয়ে সামিতা মৌ পাল তার স্বামীকে নিয়ে সকালে বেড়াতে আসেন পরে আবার বিকেলে চলে যান। যাওয়ার সময় ঘরটি তালা বদ্ধ করে রেখে যান। ঘটনার অর্থাৎ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে সামিতার জেঠি তাদের ঘরের ভিতরে শব্দ শুনে ডাক চিৎকার করলে চোর বাসার দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে সামিতা এসে দেখে তার বাবার ঘরের ভিতরে থাকা বিছানা পত্র,আসবাবপত্র,কাসার হাড়ি পাতিল,ফ্যান,টিভি,কাপড়সহ ঘরের ভিতরে থাকা যাবতীয় জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায় চোর। এ ঘটনায় বড় মেয়ে সামিতা মৌ পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপরে পুলিশ তৎপর হয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে গত ১৮ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে চোর সোলায়মানকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চুরিকৃত মালামাল ফজলু সরকার,মোঃ নূরুল আলমের কাছে বিক্রি করে বলে জানায় সে। পরে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে মালামাল উদ্ধার করা হয় এবং মালামাল কেনায় জড়িত দুইজনকে আটক করে। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সাধন চন্দ্র পালের সংসার জীবনে তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পদের অধিকাংশই চোর নিয়ে গেছে। যার মুল্য আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান,চুরির ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রুজুর পর এসআই লিটন মিয়াকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এরপর সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চোর সনাক্ত এবং আটক করে মালমাল উদ্ধারসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য