সব
শেরপুরের শ্রীবরদীতে দুই ও তিন ফসলি জমির টপ সয়েল কর্তন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কৃষি জমিতে রীতিমতো ভেকু বসিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি কর্তনের খবর প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে ইউএনও ফৌজিয়া নাজনীন। পরে ১৭ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া এলাকা অভিযান পরিচালনা করে প্রসাশন।উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন, শ্রীবরদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন খন্দকার। এসময় একটি ভেকু জব্দ করা হয়।স্থানীয়রা জানান, শ্রীবরদী উপজেলা সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভর এলাকা। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত। এ অঞ্চলের অধিকাংশ জমিই উর্বর পলি মাটি সমৃদ্ধ। এসব জমিতে বছরে দু’টি মৌসুমে ধানসহ সরিষা, রসুন ও শীতকালীন সবজি ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয়। কিন্তু কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ী কৃষকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এসব জমির টপ সয়েল কিনে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কিছু দুই ফসলি জমি এক ফসলি হয়ে গেছে আর এক ফসলি কিছু জমি ফসলহীন হয়ে গেছে। কিছু রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় চলে এ ব্যবসা।এ ব্যাপারে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া বলেন, আমি ইতিমধ্যেই সামাজিক ভাবে বন্ধের চেষ্টা করেছি। তবে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে অভিযান চালায় শ্রীবরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি)। অভিযানের খবর পেয়ে মালিক ও চালক পালিয়ে যায়। বর্তমানে ভেকুটি আমার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। গাড়ির মালিক খোঁজা হচ্ছে। পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, টপসয়েল কৃষি জমির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই অন্যায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন তৎপর। আমরা খবর পাবার সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করেছি। পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে না পারলেও একটি ভেকু আটক করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য