সব
ত্রিশাল উপজেলার ৯নং বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ক্যাম্পাসে ৮৫ নং বিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সাজেদা ইয়াসমীনের বিরুদ্ধে মারমূখী আচরণ এবং অশালীন গালিগালাজসহ অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
গত ছয় মাস ধরে এ শিক্ষিকা সাজেদার মারমূখী আচরণ এবং অশালীন গালিগালাজের কারণে তিন সহকারী শিক্ষক পরিত্যাক্ত ভবনে অফিস করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে গত ২২মে২০২৩ সকাল ১১টার সময় সহকারী শিক্ষক আঁখি আক্তারকে সাজেদা ইয়াসমীন পিটিয়ে আহত করে। এর আগে ২০১৯ সালে সহকারী শিক্ষক আসমা খাতুনকে মারধর করেছে। লজ্জায় আসমা খাতুন অন্য স্কুলে বদলী হয়ে যায়।
সহকারী শিক্ষক সাজেদা ইয়াসমীনের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় অনিয়ম, বিশৃংখলা সৃষ্টি, কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হয় এবং নির্যাতন এর শিকার হতে হয়। তার আচার আচরণে অতিষ্ট শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ।
প্রাথমিক শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার অন্তরায় হয়ে উঠেছে এই শিক্ষক।
কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের আদব কায়দা, ন্যায়নীতি, শৃঙ্খলা, আচার আচরণ, লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার পরিবর্তে অশান্ত বিশৃংখলা তৈরি করায় ইতিপূর্বে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৃথক ভাবে ত্রিশাল উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে সভার মন্তব্যসহ প্রতিবেদন পাঠানোর পরেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় জনমনে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন মনে করছে।
সহকারী শিক্ষক সাজেদা ইয়াসমীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
মন্তব্য