সব
কথিত পীরের মাধ্যমে সম্পদ দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের ঘটনায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কথিত পীর মোঃ খোকন আকন, মোঃ রাজু আহম্মেদ রিপন, মোঃ শাহাবুদ্দিন ফরিক ওরফে শিশু ও মোঃ মিলন মিয়া। এ সময় তাদের হেফাজত হতে আত্মসাৎকৃত নগদ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ্ আলম মোঃ আখতারুল ইসলাম পিপিএম জানান, গত ২২ জুলাই সকালে পূর্ব রামপুরা এলাকায় একজন বয়স্ক মহিলার কাছ থেকে অর্থ-সম্পদ দ্বিগুণ করে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। প্রতারণার স্বীকার নারীর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে রামপুরা থানায় গত ২ আগস্ট একটি মামলা হয়। মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করে শনিবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের রামপুরা থানার মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি ভোরে হাঁটতে বের হওয়া বয়স্ক ধর্মভীরু মহিলাদের টার্গেট করতো। টার্গেটকৃত মহিলাকে সালাম দিয়ে নিজেদের অত্র এলাকার বাসিন্দা হিসাবে পরিচয় দিয়ে গল্প শুরু করতো।এক পর্যায়ে ভিকটিমকে চক্রের অপর সদস্য কথিত পীরের কাছে নিয়ে কথিত পীরের মাধ্যমে ভিকটিমের সম্পদ দ্বিগুণ করার প্রলোভন দেখাতো। ভিকটিমের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তাদের দলের অন্য সদস্যরা পীরের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে ও তাদের সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে মর্মে ভিকটিমের সামনে বর্ণনা করতো।
কথিত পীরকে দেখে ও তার কথাবার্তা শুনে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা শুনে ভিকটিম পীরের প্রতি দুর্বল হয়ে পরে এবং সাহায্য চায়। তখন কথিত পীর ভিকটিমকে তার অর্থ-সম্পদ দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এরপর ভিকটিম তার সম্পদ দ্বিগুণ করার জন্য তার বাসায় গচ্ছিত নগদ অর্থ ও স্বর্ণ এনে পীরের হাতে দেয়। অর্থ হাতে পাওয়ার পর কথিত পীর ভিকটিমকে পিছন না ফিরে ৩০ কদম হাঁটতে বলে। ভিকটিম হাঁটা শুরু করলে প্রতারক চক্রটি নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
মন্তব্য