সব
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক আব্দুল খালেক (৬৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
জানা গেছে, ঈদুল আজহার দিন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন ২০২৩) তারিখ আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া পূর্বপাড়া রাস্তার পাশে ডোবায় আব্দুল খালেকের লাশ পাওয়া যায়। লাশের গলায় গোলাকৃতির কালচে দাগ দেখে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। পরে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা লাশের পরিচয় উদঘাটনে সাঁড়াশি অভিযানে নেমে তিনজন আসামিকে আটক করেন।
জানা যায়, মৃত আব্দুল খালেক ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার চায়না মোড়ে রেলওয়ে বস্তির মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র। এছাড়া তিনি তারাকান্দা উপজেলার চর ফরিদপুর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি এলাকায়ও বসবাস করতেন বলে জানান কামারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একেএম আজহারুল ইসলাম। তিনি গত (২৮ জুন ২০২৩) তারিখ সাড়ে ৫টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
তার হত্যা রহস্য উদঘাটনে নেমে গতকার (২৯ জুন ২০২৩) তারিখ রাত সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার চরখরিচা ও জয়বাংলা বাজার এলাকা হতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল অটো ছিনতাই চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামিরা হলেন সোহেল (৩২), জামান (২৯) ও হযরত আলী (৩৫)। সোহেল ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার চর আনন্দীপুরের ব্যাটারি বিক্রেতা কিতাব আলীর ছেলে, জামান একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ও হযরত আলী চর খরিচা বাজারে ব্যাটারি বিক্রেতা হাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশার ৪টি ব্যাটারী ও নগদ ২৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, গত (২৮ জুন ২০২৩) তারিখ রাত সাড়ে ১১টায় পরিকল্পিতভাবে যাত্রী বেশে তারা কোতোয়ালি চায়না মোড় এলাকা হতে আব্দুল খালেকের অটোরিকশাটি ভাড়া করে এবং সময় কাটানোর অজুহাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে।
এরপর গতকাল ঈদুল আজহার দিন (২৯ জুন ২০২৩) তারিখ রাত অনুমান দেড়টার সময় তারা নির্জন রাস্তায় নিয়ে আব্দুল খালেকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ও লাশ রাস্তার পাশে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। আব্দুল খালেকের পরিবার তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মন্তব্য