সব
জনবল, দক্ষতা ও সক্ষমতার দিক দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুলিশ ইউনিট। যা কোন পুলিশ ইউনিট করতে পারে না সেটা ডিএমপির ডিবি ও সিটিটিসি করে মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম(বার), পিপিএম। বুধবার ২১ জুন সকালে ডিবি কম্পাউন্ডে আয়োজিত ডিবি-সিটিটিসির গ্রান্ড রোলকলে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহাগরীর কোন নাগরিক সমস্যায় পড়লে সেটা ডিবি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করাতে চায়। কারণ তারা জানে, যে কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনা, খুন বা অন্য কোন ঘটনা ঘটলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামি দেশে থাক বা বিদেশ যেকোনো জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে সারাদেশে যখন জঙ্গি হামলার একটা ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো তখন ডিএমপির সিটিটিসি শুধু ঢাকা মহানগর নয়, সারা দেশে যেখানেই জঙ্গির খবর পেয়েছে সেখানেই ছুটে গিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। এখনো আমেরিকা, জার্মান বা ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলোতে শপিংমল বা স্কুল-কলেজে জঙ্গি হামলা হয় কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ এগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
ডিবি আর সিটিটিসি ডিএমপি কমিশনারের দুটি শক্ত হাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০-১২ বছর বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থায় আছে, বড় ধরনের কোন সংকট হয়নি। সামনে অনেক বড় সংকট আসতে পারে। সেগুলো মোকাবেলা করতে ইউনিফর্মধারী পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য রাজারবাগের পবিত্র মাটি থেকে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কখনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়নি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য যে কোনো অপশক্তিকে অতীতের মতোই কঠোর হস্তে দমন করবে।
তবে আইনের বাইরে গিয়ে কোন কাজ করা যাবে না, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম(বার); ডিবি-সিটির যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ; উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফটো ক্রেডিট: সোহেল ভূইয়া ও বরুন রায়, ডিএমপি-মিডিয়া।
মন্তব্য