সব
ছাত্র অধিকার পরিষদের খুলনার তেরখাদা উপজেলা সভাপতি সাইফুল ইসলামকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। এ সময় সাইফুলের মা ও ভাই উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের খুলনা জেলা সভাপতি সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাদা পোশাকে ৮-১০ জন তেরখাদার হাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠ থেকে সাইফুল ইসলাম ধরে মাইক্রোবাসে তোলে। স্থানীয়রা মাইক্রোবাসের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেলে তেরখাদা থানার এসআই অনুপ কুমারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। সাইফুলকে তুলে নেওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের মাঠে সাইফুলের বড় ভাই বায়োজিদ শেখ, স্থানীয় দোকানদার সাজ্জাদ, সাব্বির, মুন, কামাল, ইমদাদ, মাহমুদ, রাজু ও শামীমসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তেরখাদা থানায় যোগাযোগ করি। তবে এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলে জানায়। পরে আমরা এসআই অনুপ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা সাইফুলকে নিয়ে গেছে।
সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টায় সাইফুল ইসলামের মা এবং ভাই বায়জিদকে নিয়ে আমরা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাই। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাইফুল ইসলাম নামে কাউকে তারা গ্রেপ্তার করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাইফুলকে তুলে নেওয়ার ৪৫-৫০ মিনিট পর্যন্ত তার মোবাইল চালু ছিল। পরে নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার ওসি মো. জহুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অনেকের কাছ থেকে অভিযোগটি শুনেছি। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এস আই অনুপ কুমারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে কল কেটে দেন। পরে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য