সব
প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জনগুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রোডে লাহিড়ী বাড়ী অবৈধ সেমাই কারখানা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
গত (৩১ মার্চ) রাতে আবাসিক ভবনের নিচে আজাদ ফুটওয়্যার গোডাউনের সাথে অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিলেও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ৩০মিনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন, কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ, ১নং পুলিশ ফাঁড়ির টিএসআই আনোয়ারসহ স্থানীয় জনসাধারণ আবাসিক জনবহুল মার্কেট এলাকায় লাচ্ছি সেমাই ও চানাচুর কারখানা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে কারখানাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়।
জানা যায়, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্যের অনুমোদন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কাগজপত্র, পরিবেশের ছাড়পত্র সিটির প্রিমিসেস নিবন্ধন ছাড়াই এই তৃপ্তি এন্ড ব্রাদার্স নামক লাচ্ছি ও চানাচুর কারখানাটি অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এই লাচ্ছি সেমাই ও চানাচুর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল কেমিক্যালযুক্ত মুখরোচক খাদ্য সেবনে মানবদেহে বিভিন্ন দুরারোগ্যে রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে কারখানার মালিক উৎপল কুমার বসাক, অরুণ কুমার বসাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চল্লিশ বছর যাবৎ এখেলা করে আসছি। অন্যান্য কারখানায় লাখ টাকা জরিমানা করলেও আমাদের তৃপ্তি এন্ড ব্রাদার্সে দশ/পনের হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যায়। কোথায় কিভাবে মেনেজ করতে হয় তা আমরা জানি। সাংবাদিকদেরকে আমি মেনেজ করেই চালাই, আপনার যা করার তাই করেন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
এবিষয়ে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গতমাসে এ প্রতিষ্ঠানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য জরিমানা করা হয়। কাগজপত্রের বৈধতার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন কারখানাটি বন্ধের এখতিয়ার রাখে।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী’র নিকট জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে অগ্নিকাণ্ডের রাতে পরিদর্শন শেষে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ কামাল আকন্দ’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনবহুল আবাসিক ও মার্কেট এলাকায় এ জাতীয় কারখানা বিপদজনক বলে এটা বন্ধ বা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
মন্তব্য