পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হাত পা বেঁধে বসতঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সেউতিবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আহত আয়শা বেগম (৪৫) ও স্বামী আলী আকবর (৫৫) বর্তমানে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। ঘটনার কিছুদিন আগে আয়শা বেগম বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আয়শা বেগম জানান, তাঁর চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের সঙ্গে জমা জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। গত রাতে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং তার বিরুদ্ধে কেন মামলা করেছি তাই বলে জাহাঙ্গীর, রাসেল ও রুবেলসহ ৭-৮ জন লোক মারধর করে।
তাঁর স্বামী আলী আকবর বলেন, তাকে ধরে নিয়ে মাঠের মধ্যে হাত পা বেঁধে মারধর করে এবং বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক শাহ জামাল জানান, আমাদের মাদ্রাসার পাশে একটি ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে মটরের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরাও এসে উপস্থিত হয়েছিল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর মাতুব্বর মুটোফোনে জানান, আমি ঘটনাস্থলে যাইনা অনেকদিন। রাতে বাড়িতে পুলিশ এসেছিল তাদের মাধ্যমে মারধর ও বসত ঘরে আগুনের বিষয়ে জানতে পারি। ওখানে আমারও ঘড় আছে। জমি নিয়ে মামলা চলছে।
ইউপি সদস্য মজনু হোসেন জানান, রাতে একটা সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে আসার পথে দেখেছি আগুন জলে। তদন্ত করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, কে দোষী। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন জানান, ঘটনা শুনেছি রাতে তাদেরকে মারধর করে বসতঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
এবিষয়ে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, রাতে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি, তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য