সব
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পাগলা থানায় নাছির উদ্দিন (৪৫) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা ডিবি পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানান , অটোরিকশা ছিনতাই করার জন্য নাছির উদ্দিনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, জেলার পাগলা থানার কন্যামন্ডল আদর্শ গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মকবুল হোসেন (৫৫), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আবুল হাসেমের ছেলে জাবেদ মিয়া (২৫), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে কাজল মিয়া (৬০), আহসান উল্লাহর ছেলে মো. শরিফ (৩২) ও হাসেন আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (২২)।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এরআগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালক হত্যার মূলহোতা মকবুলসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলা ডিবি জানায়, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার বিকেলে জেলার গফরগাঁও উপজেলার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫) অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ঐইদিন রাতে নাছির বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরদিন জেলার পাগলা থানা এলাকায় খুরশিদ মহল ব্রিজের পাশে ঝোপঝাড়ের আড়ালে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত নাছিরের পরিবারের লোকজন তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) নিহত নাছিরের ছোট ভাই নুরুল আমিন বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা করেন।
ডিবি ওসি জানান, আসামি মকবুল হোসেন একজন পেশাদার অটোরিকশা চোর। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজারে সেলুনে নরসুন্দরের কাজ করতেন। এ পেশার আড়ালে অটোরিকশা চুরির চক্র গড়ে তোলেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রের অন্যরা রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী বেশে অটোরিকশা চালকদের ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে আসতেন। পরে চালককে মারপিট করে, কখনো নেশাজাতীয় দ্রব্য প্রয়োগে অচেতন করে, আবার কখনো খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে। আসামিদের আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য