সব
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একাধিক চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শতাধিক ভুয়া আইডি খুলে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। লোকজনকে হয়রানির উদ্দেশ্যে নামসর্বস্ব আইডি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটানো এদের নিয়মিত কাজে পরিণত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব ভুয়া আইডির সঙ্গে জড়িত অনেকেই থানার দালালি ও মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। এরা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালাতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে নানারকম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানহানিকর পোস্ট প্রকাশ করে অর্থ দাবি করে আসছে চক্রটি। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও টার্গেট করে তাদের ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্যমূলক ভাষায় পোস্ট করা হয়। পরে অন্য ভুয়া আইডি থেকে ওই পোস্টগুলোর নিচে উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা হয়।
গত কয়েক মাসে এই চক্রের মাধ্যমে বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এমন শতাধিক ভুয়া আইডি শনাক্ত করে কয়েকজন ভুক্তভোগী একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় এক প্রতারকের বিরুদ্ধে ত্রিশালের এক নারী ভুক্তভোগী সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির প্রেক্ষিতে সাইবার ইউনিট ও সিআইডি যৌথভাবে অনুসন্ধান শুরু করে।ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।
পরবর্তীতে তিনি ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রতারক মোমেন তালুকদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৪৫/২৫।
মামলাটি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সাইবার টিম তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌতম সরকার জানিয়েছেন, মোমেন তালুকদারসহ ৫ জনের ফেসবুক আইডির লিংক আমি সিআইডি পাঠিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা আছে তাদের মোবাইল ও ডিভাইস জব্দ করার জন্য। শীঘ্রই ডিভাইস জব্দ করা হবে।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, সাংবাদিক মোমেন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি আমাকে দীর্ঘদিন ধরে হয়য়ারি করছেন। ৫০ হাজার টাকাও নিয়েছে। তারপরও আবারও ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য