সব
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারশালা চালুর প্রস্তুতি প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছর পর এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্টোরের মাঝামাঝি সময়ে অস্ত্রোপচারশালাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১৬ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অস্ত্রোপচার সেবা চালু হয়নি তখন। ফলে কোনো প্রসূতি মা সিজারিয়ানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান জন্ম দিতে পারতেন না। তাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে জেলা শহর হাসপাতাল কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে সিজার করাতে হতো। এক্ষেত্রে বিত্তবানদের সমস্যা না হলেও অর্থকষ্টে পড়তেন দরিদ্র রোগীরা।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০১৬ সালে নির্মিত নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় লেবার ওয়ার্ড, পোস্ট অপারেটিভ কক্ষসহ পাঁচটি কক্ষ নিয়ে অস্ত্রোপচার ইউনিট চালু করা হবে। ইতোমধ্যে ওই ইউনিটে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। এখন চলছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের কাজ। অস্ত্রোপচার ইউনিটে একজন গাইনী অবস, একজন শল্য চিকিৎসক, একজন অবেদিনবিদ, একজন শিশু ডাক্তার থাকবে।
এছাড়াও ইউনিটে থাকবে একাধিক সহকারী ডাক্তার, প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও ওয়ার্ডবয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. ইকবাল আহমেদ নাসের বলেন, অক্টোবর মাঝামাঝি সময়ে অস্ত্রোপচারশালাটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এখানে অন্তঃস্বত্তা নারীরা প্রসূতি অস্ত্রোপচার সেবা পাবে। তবে আমাদের জেনারেল সার্জন প্রয়োজন। তাহলে ছোটখাটো অপারেশনগুলোও করা যাবে।
ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচারশালাটি চালু হলে স্বল্প খরচে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে।
মন্তব্য