সব
চট্টগ্রাম নগরীতে মাদক বিরোধী অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে মাদক কারবারিদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়েছেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন উদ্দিন।
গত ২২ জুলাই নগরীর কদমতলীতে অভিযান চালিয়ে মো. জাকির নামে এক মাদক কারবারিকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেন এসআই মহসিন। তবে অভিযোগ রয়েছে, অভিযানের পর পুলিশের কনস্টেবল আজাদ জাকিরের বোন সাবিনাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন, আসামির কাছে ৪০০ পিস নয়, বরং ৩ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ সুযোগে তিনি আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় মাদক কারবারিদের প্রভাবশালী চক্র এসআই মহসিনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা শুরু করে।
পুলিশের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, যেকোনো অভিযানে নেতৃত্বদানকারী অফিসার তার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ঘটনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক জানিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে কোনো কনস্টেবল অসাধু পন্থা অবলম্বন করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মহসিন উদ্দিন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করায় মাদক কারবারিদের একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমার পুলিশে চাকরি জীবনে পূর্বেও এমন কোনো দাগ পরেনি ভবিষ্যতেও পরবেনা।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। এরপর আমার আইনজীবী সনদ জমা দিয়ে পুলিশে যোগদান করি দেশ ও সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য।
পুলিশ সূত্র জানায়, আটক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে এবং তার বোন সাবিনার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবার চালিয়ে আসছে। এর আগেও এই চক্রের বিরুদ্ধে নগরীর একাধিক থানায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের প্রভাবশালী মাদক চক্র নিয়মিতভাবে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানকে বিতর্কিত করে নিজেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মন্তব্য