সব
ময়মনসিংহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পে ঘুষ, অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে আলোচনায় উঠে এসেছেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সামিউল হক। দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার নির্মাণ ও মেরামত প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সূত্রমতে, ২০২১ সালে সামিউল হককে ময়মনসিংহ থেকে শেরপুরে বদলি করা হলেও সম্প্রতি আবারও তাকে ময়মনসিংহে ফেরত আনা হয়েছে। এতে উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার ও প্রশাসনের একাংশ। ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের পক্ষ মো. আবুল কাশেম মিয়া নামে একজন ঠিকাদার সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সামিউল হক দায়িত্বে থাকাকালে বিলের চেক আটকে রেখে ঘুষ আদায়, অনাপত্তিপত্র দিতে আর্থিক দাবি, দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া এবং বিশেষ হারে ‘পার্সেন্টেজ বাণিজ্য’ চালিয়ে গেছেন। দরপত্রের গোপন রেট পছন্দের ঠিকাদারকে জানিয়ে দেওয়া, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দিতে এক থেকে দেড় শতাংশ, আর বিল ছাড় করতে তিন শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ দাবি করতেন তিনি। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখা হতো। এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতেন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সামিউল হকের ঘনিষ্ঠতা ছিল ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার সঙ্গে। এ কারণেই তার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী সামিউল হক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মন্তব্য