সব
নিম্ন আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে উচ্চ আদালতে এক সপ্তাহের মধ্যে আপিল শেষে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। সেইসঙ্গে শিশু নিপীড়ণকারীদের আদালতে আইনী সহায়তা না দেওয়া, আইনের ফাঁক ফোকর গলিয়ে অপরাধীরা যেন বেরিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষসহ সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার ১৫ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আছিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শিশুদের উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এসব দাবি জানান।
এতে অংশ নিয়ে শিশুরাও অপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার চেয়ে সমাজে বেড়ে ওঠার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। সেইসঙ্গে শিশুদের উপর সকলপাশবিক নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানায় তারা।
শিশু নির্যাতনকারীদের সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দিয়ে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সারাদেশে কন্যাশিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা রীতিমতো আতঙ্কিত। সমাজে মানবিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে কন্যা শিশুদের ভোগ্যপণ্য বিবেচনায় নিয়েএকদল নরপিসাচ এই ধরণের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তাদের ধারণা সমাজে ন্যায়বিচার নেই। আইনের শাসন ঢিলেঢালা। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কৃতিও থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন অপকর্মকারীদের পক্ষে অবস্থান নেয়।
যার ধারাবাহিকতায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাড়ছে। তেমনি অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুতর অপরাধে নামমাত্র সাজা হচ্ছে। এসব নজির অপরাধীদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে।
সুষ্ঠু বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশের মধ্য দিয়ে মানবিক সমাজ গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, অপরাধ দমনে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক জাগরণের বিকল্প নেই। তেমনি মানবতাবাদী দর্শণে মানুষকে উজ্জীবিত করতে হবে। সেইসঙ্গে শিশুদের সকল প্রকার সুরক্ষা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন খেলাঘর সংগঠকরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাখদুমা নাগিয়স রত্না, সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ, হান্নান চৌধুরী, প্রবীর সাহা, হাফিজুর রহমান মিন্টু, সাংবাদিক রাজন ভট্টাচার্য, সাহানা আক্তার লাকী, সাউফুজ্জামান শোভন, সামিনা জাহান প্রমুখ।
মন্তব্য