সব
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেন্ট সায়েদুল আমিন সোহেল ট্রাফিক দায়িত্ব পালনের সময় ধাওয়া করে ধারালো ছুরিসহ ছিনতাইকারীকে আটক ও সার্জেন্ট ইজাজুল রহমান অনিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে কৌশলে গাড়িসহ সন্দেহভাজনকে আটক করায় সাহসিকতা ও উত্তম কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের অর্থ পুরস্কার প্রদান করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি।
রবিবার (০৯ মার্চ ২০২৫খ্রি.) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ট্রাফিকের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ সরওয়ার, বিপিএম-সেবা উপস্থিত ছিলেন।
নিয়মিত ট্রাফিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সার্জেন্ট সায়েদুল আমিন সোহেল ও সার্জেন্ট ইজাজুল রহমান অনিকের উক্ত কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।
উল্লেখ্য, গত (৬ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ১০:২০ ঘটিকায় ডেমরা চৌরাস্তায় ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করছিলেন ডিএমপির ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের সার্জেন্ট সায়েদুল আমিন সোহেল। তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করেন, এক্সপ্রেসওয়ে ইনকামিংয়ে একটি গাড়ির ড্রাইভারের সাথে দুজন লোকের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে গাড়িটির কাছে গিয়ে দেখেন সেই দুই ব্যক্তি ধারালো ছুরি হাতে গাড়ির চালকের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। সার্জেন্ট সোহেল তৎক্ষনাৎ তার সার্ভিস পিস্তল বের করে ছিনতাইকারীদের চ্যালেঞ্জ করলে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। সার্জেন্ট সোহেল অসীম সাহসিকতার সাথে ধাওয়া করে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লাফ দিয়ে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ধৃত ছিনতাইকারীকে ডেমরা থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়। তার এই বীরত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজের অনুপ্রেরণার জন্য ডিএমপি কমিশনার সার্জেন্ট সায়েদুল আমিন সোহেলকে নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।
অন্যদিকে, (৯ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) আনুমানিক ১০:২০ ঘটিকায় আব্দুল্লাহপুর এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ডিএমপির ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের সার্জেন্ট ইজাজুল রহমান অনিক। তিনি হঠাৎ একটি গাড়ির ড্রাইভারের সন্দেহজনক চলাফেরা লক্ষ্য করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সেই ড্রাইভারের কাছে গাড়িটির কাগজপত্র ও চাবি দেখতে চান কিন্তু সে দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বললেও সে এড়িয়ে যায়। তখন সার্জেন্ট অনিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কৌশলে গাড়িটির ড্রাইভারকে আটক করে ও গাড়িটি তাদের হেফাজতে নেন। অত:পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটককৃত ড্রাইভার ও গাড়িটি উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই উত্তম কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সার্জেন্ট ইজাজুর রহমান অনিককে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।
মন্তব্য