সব
ময়মনসিংহ নগরীতে মহানগর যুবলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। মিছিলে যুবলীগের পাশাপাশি নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে। এদিকে আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করার প্রতিবাদে বৈষম্যাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা নগরের টাউনহল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নগরের মাসকান্দা এলাকা থেকে মহানগর যুবলীগের ব্যানারে একটি মিছিল বের করা হয়। ব্যানারে লেখা ছিলো ‘অবৈধ আইসিটি কোর্ট মানি না’। সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর নির্দেশে মিছিল বের করা হয় বলে ফেসবুকে পোস্ট দেন মো. শাহ আলমগীর নামের এক কর্মী।
মিছিলের ব্যানারেও সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমানের ছবি ছিল। মিছিলে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রতনকে চেনা গেলেও যুবলীগের অন্যকর্মীদের মুখে মাস্কপরিহিত থাকায় পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। মিছিলটি মাসকান্দা এলাকা থেকে চরপাড়া এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতারা স্লোগান দেয়, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’
এদিকে যুবলীগের মিছিলের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহের সমন্বয়কেরা নগরের টাউনহল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এই প্রতিবাদ মিছিলটি বেরে করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সমন্বয়ক আশিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চরপাড়া এলাকাতেও বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এক ভিডিও বার্তায় আগামী ১০ দিনের মধ্য মাঠে নামার ঘোষণা দেয় ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত নিজের অনুসারীদেরকে আজ বিক্ষোভ মিছিল করার আহ্বান জানান। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, ময়মনসিংহ সদর আসনের সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত আন্দোলনে শিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন সাগর হত্যার আসামি। তাকে পুলিশ খোঁজে পায় না, অথচ সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ময়মনসিংহের পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট দোসরদের গ্রেফতার করতে হবে।
মন্তব্য