সব
অলিখিত শক্তিধর-ক্ষমতাশালী ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের করা মিথ্যা মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
মামলার খালাসপ্রাপ্তরা হলো ‘সাপ্তাহিক সোনালী শীষ’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুবিনয় গুহ ও চীফ রিপোর্টার জহর লাল দে।
‘প্রেসম্যান ফর প্রেসক্লাব’ বাস্তবায়ন করতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন’ গড়তে ২০২০ সালে মাঠে নামেন সাংবাদিক জহর লাল দে’সহ ময়মনসিংহের বৈষম্যের স্বীকার সাংবাদিক সমাজ।
সেই আন্দোলনকে রুখতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অমিত রায় বাদী হয়ে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশাদার সাংবাদিক সুবিনয় গুহ ও জহর লাল দে’সহ তিনজনকে আসামী করে(দন্ডবিধি-৫০০ ও ৫০১ ধারা) হয়রানিমুলক মিথ্যে মামলা করেন(মামলা নং- সি আর ৩২/২১) ।
দীর্ঘ তিন বছর মামলার বাদী পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহন এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেনের জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলার সার্বিক বিবেচনায় উপনীত হন মামলাটি সম্পুর্ণ হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সেইসাথে বাদীপক্ষ ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমানিত করতে না পারায় রায়ের ধার্য্য তারিখে বিজ্ঞ বিচারক তানজিনা ইসলাম ‘সাপ্তাহিক সোনালী শীষ’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুবিনয় গুহ ও স্টাফ রিপোর্টার জহর লাল দে’কে মিথ্যে হয়রানিমুলক মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন ।
এ নিয়ে মামলায় অভিযুক্ত জহর লাল দের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সত্য তথ্য প্রকাশ করায় আমাদেরকে যেভাবে হয়রানি ও রাষ্ট্রযন্ত্র অপব্যবহার করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে-আমরা এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নিব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম, আছি ও থাকবো অবিচল।
মামলার আইনজীবী মো.বিল্লাল হোসেন জানান, আইনজীবী হিসেবে আমি একটি কথাই বলবো, যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রতিপক্ষ আদালতে উপস্থিত করেছে-সেগুলি সঠিক ছিলনা। আর এই প্রেসক্লাব নিজেদের খুব অহংকার, উচ্চ ও ক্ষমতাশালী ভেবেছিল।
বিভিন্ন সময় এর প্রভাবও দিয়েছিল। কিন্তু আইন তাঁর নিজস্ব ও সঠিকতায় চলবে, আবারও তা প্রমাণ করলো। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আমি আনন্দিত।
মন্তব্য