সব
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ভাঙচুর এবং পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাস-স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচিতে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ও জালালাবাদ ইউনিয়ন এবং কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
এসময় সেনাবাহিনী এসে তাদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা সেনাবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচ সেনাসদস্যসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে দুই সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। তাঁরা হলেন চ্যানেল ২৪-এর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বাদল সাহা ও মাছরাঙার টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাবপত আহমেদ।
সেনা সদস্যরা অবরোধ তুলে নিতে বললে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, রাম দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র বহন করছিল।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেবার জন্য সেনাসদস্যরা লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনাকে ফিরে আনার দাবিতে এনিয়ে টানা তিনদিন গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে আজ বিক্ষোভ সহিংসতায় গড়িয়েছে।
মন্তব্য