সব
আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন ২০২৪ খ্রি.) সকালে গাবতলী বাসটার্মিনাল ও গরুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) যাত্রী ও গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির খোঁজ নেন।
দেশবাসীকে আসন্ন ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, প্রতিবারের মতো ঈদের জামাত, গরুর হাট, রেল, সড়ক, নৌপথে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সবদিকে সব কিছু বিবেচনা রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘরমুখো মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, অনেকে রওনা হচ্ছেন। তারা যাতে স্বস্তিতে ও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রমজানে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তা দিতে হয়, কিন্তু এই ঈদে মানুষসহ পশুবাহী গাড়ি এই দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ পুলিশকে সামাল দিতে হয়। এসব বিষয়ে বিবেচনা রেখেই আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুবাহী গাড়ি যাতে যথাযথ স্থানে নিরাপদে যেতে পারে এজন্য সারা রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা রয়েছে। পশুবাহী গাড়ি কোন অভিযোগ ছাড়া কেউ কোথাও থামাতে পারবেনা, পুলিশের সকল ইউনিট এ বিষয়ে সতর্ক আছে।
ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন এবং বড় অংকের অর্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন আইজিপি। জাল টাকার বিষয়ে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন। অজ্ঞান বা মলম পার্টি, অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারী অথবা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোন তথ্য থাকলে তিনি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন এবং দ্রুততম সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কেউ হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে জানাবেন প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করলে দ্রুততম সময়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাবে।
আইজিপি বলেন, মহাসড়কে নসিমন-করিমন, ভটভটি বা ফিটনেসবিহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ড্রাইভারদের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালানোর অনুরোধ করেন আইজিপি। গতি পরীক্ষা করতে স্পিডগান দিয়ে গতি পরীক্ষা করবে হাইওয়ে পুলিশ।
যাত্রীদের প্রতি নিরাপদ ঈদ যাত্রায় আইজিপি বলেন, জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যাত্রী হয়ে পণ্যবাহী পরিবহনে উঠবেন না। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। নিরাপদে পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরে আশার প্রত্যাশা করেন আইজিপি। পশুসহ মানুষের জীবনহানির সংশয় থাকায় ট্র্যাক বা টলারে অতিরিক্ত পশু বহন না করার অনুরোধ করেন আইজিপি।
সম্মানিত নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়ি ফাঁকা রেখে যাওয়ার সময় নিজ নিজ সতর্কতা অবলম্বন করুন। বাসার সিসিটিভি সচল রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করুন। কারো কোন সমস্যা হলে দ্রুত নিকটস্থ থানা বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার অনুরোধ জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সদস্যরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ঈদে নিজেরা ছুটিতে না গিয়ে দেশবাসী যাতে নিরাপদ-নির্বিঘ্নে ঈদ উপযাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ। জনগণকে সেবা দিয়ে পুলিশ সদস্যরা গর্ব ও আনন্দ অনুভব করে। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে না গেলেও দেশবাসী উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে দেখে পুলিশ স্বস্তি অনুভব করে।
আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার গাবতলী বাস টার্মিনাল ও কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পুলিশ ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পশুর হাটের ইজারাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য